পেশায় ডাক্তার হলেও, আপাদমস্তক তিনি একজন অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষ। পাহাড়-পর্বতে চড়ে বেড়ানো তাঁর সবথেকে প্রিয় কাজ। পাহাড়ের প্রতি তাঁর এই ঝোক তৈরি হয়েছিল কৈশোরে সমরেশ মজুমদারের বই পড়ে। পাহাড়ের অনিন্দ্য সুন্দর প্রকৃতি এবং পাহাড়ি জনজীবনের বর্ণনা পড়ে এক দুর্নিবার আকর্ষণ জাগে পাহাড়ের প্রতি। মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় থেকে একটু একটু করে স্বপ্নের পথে পা বাড়ানো। বান্দরবানের পাহাড় দিয়ে তাঁর ট্রেকিংয়ে হাতেখড়ি, পরবর্তীতে যাত্রা করেন ভারত-নেপালের হিমালয়ের বিভিন্ন পর্বতে। মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স করেছেন ভারতের উত্তরকাশীর নেহরু ইন্সটিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং থেকে। পাহাড়ের সাথে সাথে ক্লাইম্বিং, সাইকেল চালানো, কায়াকিং, হাফ ম্যারাথন, ফটোগ্রাফি, স্কুবা ডাইভিং ইত্যাদিও চলছে সমানতালে। সাইকেলে ক্রস কান্ট্রি রাইড সম্পন্ন করেছেন তিনবার।২০১৯ সালে পায়ে হেঁটে ঘুরেছেন দেশের ৬৪ জেলা। দেশ দেখা আর মানুষের সাথে ভাব-বিনিময় ছাড়াও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর জন্য গণসচেতনতা তৈরি করে গেছেন দেশের পথে-প্রান্তরে। সেই ভ্রমণের অনবদ্য অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন 'পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা'। সম্প্রতি জয় করে এসেছেন হিমালয়ের দুর্গম ‘আমাদাব্লাম’ চূড়া। সদা হাস্যোজ্জ্বল, প্রকৃতিপ্রেমিক ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় এই মানুষটির গল্পে উঠে এসেছে তাঁর অ্যাডভেঞ্চারের নানা দিক।