কিভাবে ই ভি এম মেশিন বানালাম? শৈশবেই ঝোঁক ছিলো যন্ত্রপাতির প্রতি। এই ঝোঁক নিয়ে বেড়ে ওঠা, তারপর বাবা-মা ও বন্ধুদের পরামর্শে ফরেস্ট্রিতে পড়াশোনা। পড়ছেন ফরেস্ট্রিতে, কিন্তু পুরনো যন্ত্রপাতির দোকানে খুঁজে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন পার্টস, বিষয়টা ইন্টারেস্টিং। এরকম উল্টো রথে চড়ে ফার্মওয়্যার-হার্ডওয়্যার ডেভেলপার হওয়া, আর তারপর পাই ল্যাবসের সফটওয়্যার রিসার্চারের পদটা বাগিয়ে নেওয়া, যাত্রাটা সহজ ছিলো না। সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা বিষয়ে পড়াশোনা করেও নিজের স্বপ্ন ও ভালো লাগাকে যে জিইয়ে তোলা যায়, মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান (হাসান) তার জ্বলন্ত উদাহরণ। প্রায় ২৫ টি প্রফেশনাল প্রোডাক্ট তৈরি টিমের এবং ৮০ টি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার প্রজেক্টের ট্রেইনার হাসানুজ্জামানের সঙ্গে গল্পগ্রাফির আড্ডায় জানা গেল তাঁর জীবনের নানা অধ্যায়। কর্মক্ষেত্রের সরস গল্প থেকে জানা গেলো প্রহরী ভেহিক্যাল ট্রেকিং সিস্টেম, দেশের প্রথম ভিটিএস, পার্কিং সিস্টেম, ই ভি এম-এর মতো উল্লেখযোগ্য প্রজেক্টে কাজ করার কথা। হাসানুজ্জামানের অদম্য ইচ্ছাশক্তি তাঁকে দক্ষ করে তুলেছে Embedded System Design and Development, IoT (Internet of Things) Ecosystem Development, 8bit and 32bit Microcontrollers, Raspberry Pi, Python and C programming languages, Machine Learning, Artificial Intelligence and Images Processing, ksi not over yet reaction এবং Server development-এর মতো জনপ্রিয় বিষয়গুলোতে। হাসানুজ্জামানের গল্প থেকে যে কোনো আগ্রহী ও স্বপ্নবাজ তরুণ-তরুণী পেয়ে যেতে পারেন নিজেদের স্বপ্নকে উস্কে দেয়ার রসদ।