Listen

Description

ক্রোমোজোমের কাজ হলো মাতাপিতা হতে জিন সন্তানসন্ততিতে বহন করে নিয়ে যাওয়া। মানুষের চোখের রং, চুলের প্রকৃতি, চামড়ার গঠন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য পিতা-মাতা থেকে সন্তান-সন্ততির মধ্যে নিয়ে চলে আসে ক্রোমোজোম এ কারণে ক্রোমোজোমকে বংশগতির ভৌতভিত্তি (Physical basis of heredity) বলে আখ্যায়িত করা হয়। এই ক্রোমোজোমের সংখ্যা প্রতিটি জীবের জন্য একেবারে নির্দিষ্ট বেশি হবে না কম হবে না যেমন মানুষের জন্য 46 মৌমাছি 16 তাহলে এখানে একটা মনের মধ্যে প্রশ্ন আসতে পারে যে একটা ছেলের ও ক্রোমোজোম সংখ্যা 46 একটা মেয়ের 46 তাহলে এই দুইয়ের সংমিশ্রণে যে বাচ্চা হবে তার ক্রোমোজোম সংখ্যা তো 46 আর 46 সমান 92 হয়ে যাবে তাহলে তো ক্রোমোজোম সংখ্যা বদলে যাচ্ছে সে তো আর মানুষ থাকছে না অন্য কোন প্রাণী হয়ে যাবে এর একটা চমৎকার সমাধান আল্লাহ সুবহানাতায়ালার করে দিয়েছেন সেটা হচ্ছে জনন কোষ অর্থাৎ শুক্রাণু এবং ডিম্বানুতে ক্রোমোজোম সংখ্যা থাকে দেহকোষের অর্ধেক অর্থাৎ শুক্রাণুতে থাকবে 23 এবং ডিম্বানুতে থাকবে 23 এবার এই শুক্রাণু আর ডিম্বাণু যখন একত্রিত হয় তখন 23 প্লাস 23 সমান 46 ক্রোমোজোম হয়ে যায় অর্থাৎ মানুষের ক্রোমোজোম সংখ্যা 46 হয়ে যায় কি সুন্দর সমাধান চিন্তা করেন একবার বিজ্ঞানী স্ট্রাসবার্গার (Strasburger) (১৮৭৫) সর্বপ্রথম ক্রোমোজোম আবিষ্কার করেন। এইতো কিছুদিন আগে এখন দেখি পবিত্র কোরআন কি এর সাথে সামঞ্জস্যতা রাখে নাকি এর বিরুদ্ধে যায় পবিত্র কোরআন আমাদেরকে ফিজিক্স কেমিস্ট্রি বায়োলজি শেখানোর জন্য নাজিল হয়নি তবে আমরা এগুলা দিয়ে কোরআনকে টেস্ট করতে পারি যে এটা কি বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্য তাড়া খেয়ে নাকি বিপক্ষে যায় ক্রোমোজোম এর ব্যাপারে কুরআন কি বলে সূরা ইখলাসের তিন নাম্বার আয়াত লক্ষ্য করলে দেখবেন শব্দটির নিচে একটি মাত্র জের রয়েছে অন্য কোথাও নেই এই যে থেকে এর আগেও ঠিক 23 টি অক্ষর রয়েছে এবং এরপরেও ঠিক 23 টি অক্ষর রয়েছে এই 23 প্লাস 23 সমান 46 যা মানুষের ক্রোমোজোম সংখ্যার সাথে মিলে যায় এবং এখানে জন্ম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে আল্লাহ বুঝিয়েছেন যে এরকম জন্মের সাথে আল্লাহর কোন সম্পর্ক নেই এরপরে যদি দেখেন পুরো পবিত্র কোরআনে পুরুষ শব্দটি এসেছে মোট 23 বার আর নারী শব্দটি এসেছে ঠিক 23 বার আর 23 এর সাথে কি সম্পর্ক রয়েছে তা মনে হয় আর রিপিট করা লাগবে না এরপরে আপনি যদি যান সূরা নাহলে দেখবেন নাহল শব্দটির অর্থ হচ্ছে মৌমাছি আর আমরা জানি যে মৌমাছি এর ক্রোমোজোম সংখ্যা 16 এখানেও একটি মিরাকেল দেখেন পবিত্র কোরআনের 16 নাম্বার ছড়াতে আছে এই সূরা নাহল। আরে সূরা না হলে আয়াত সংখ্যা রয়েছে 128 টি যা 16 দ্বারা সম্পূর্ণ বিভাজ্য পবিত্র কুরআনে সরাসরি বলা থাকে না কোরআনের গাঠনিক সন্দর্য বিশ্লেষণ করলে আমরা এরকমই বিজ্ঞানের মৌলিক জিনিসগুলো পেয়ে যায় ভবিষ্যতের পর্বগুলোতে পবিত্র কোরআনের আরো অনেক অলৌকিকতা নিয়ে ভিডিও আসছে সঙ্গেই থাকবেন ।